
শেরপুর শ্রীবরর্দী উপজেলার বালিঝুড়ি রেঞ্জে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারি বনায়ন প্রকল্পের প্রায় ১০ কোটি টাকার রাজস্ব গরমিল পেয়েছে বন বিভাগ।
বনের বাগান বিক্রি হলেও বিক্রিত টাকা সরকারি কোষাগার হিসাব নাম্বারে জমা দেয়নি সদ্য বিদায়ী বন কর্মকর্তা (রেঞ্জ অফিসার) রবিউল ইসলাম। এঘটনার জন্য দায়ি করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বনের সদ্য বদলী হওয়া বন কর্মকর্তা (রেঞ্জ অফিসার) রবিউল ইসলামকে।
অভিযোগ ওই বনায়ন প্রকল্পের টাকা মেরে দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। বাগান বিক্রির টাকার মধ্যে শতকরা ৪৫ ভাগ টাকা সরকারের রাজস্ব আর ৪৫ ভাগ ওই প্রকল্পের সাথে জড়িত কয়েকশ উপকারভোগী পাহাড়ি গরীব মানুষ পাবে আর ১০ ভাগ নতুন পরবর্তী বাগান করার ফান্ডে জমা থাকবে। কিন্তু ৪ বছর রেঞ্জার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরেও গেল ২ ফেব্রুয়ারী তিনি নিজস্ব জেলা জামালপুরে বদলী হন। এর আগেও দুই বছর তিনি এই রেঞ্জেই বিট কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বদলী হওয়ার পর বিষয়টি বন বিভাগের নজরে আসলে নড়ে চরে বসে বন বিভাগ। বন বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করে মাস খানেক আগে থেকেই এই বিষয়ে তদন্তের পাঁচ সদস্য করে দুইটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ঘটন করেছে বন বিভাগ। এদিকে অংশীদারিত্বের টাকা খোয়া যাওয়ার আশংকায় আছেন উপকার ভোগি শতশত পাহাড়ের আসহায় গরীব পরিবার গুলো। ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে
সরকারি ওই বনের রেঞ্জ অফিসে সুবিধাভোগীরা দিনরাত ঘুরছে। তদন্ত কমিটিও আসছে ঘনঘন।
জানা গেছে,ওই কর্মকর্তার চাকরি কালিন সরকারি ও অংশীদারি বনায়নের দেড়শতাধিক বাগান অন্তত ১৬ কোটি টাকায় টেন্ডারে বিক্রি করা হয়।সরকারি আইন অনুযায়ি বাগান বিক্রিত অর্থ ঠিকাদার সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে গাছ কাটার অনাপত্তি পত্র নিয়ে বাগান কেটে নিবেন বলে সর্ত থাকলেও জমাকৃত টাকা থেকে বন কর্তৃপক্ষ অংশীদারি জনগকে যার যার অংশ বোঝিয়ে দিবেন।ঠিকাদাররা বাগান কেটে নিয়ে গেছেন।কিন্ত সরকারি কোষাগারে কোনো টাকা জমা করা হয়নি।সূত্র জানিয়েছে ওই কর্মকর্তা ঠিকাদারের কাছে থেকে নির্ধারিত টাকা ব্যক্তিগত ভাবে জমা নিয়ে গাছ কাটার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। কিন্ত সরকারি তহবিলে জমা দেননি কোনো টাকা। অপর একটি সুত্র জানিয়েছে অভিযুক্ত রবিউল আলম ঠিকাদার সিন্ডিগেটের একটি বড় অংশের সাথে গোপনে অংশীদার ছিলেন।ওই সিন্ডিগেটকে কাজ পাইয়ে দিয়ে মিলেমিশে সরকার ও প্রকল্পের অংশীদার জন সাধারনের টাকা তছরুপ করেছেন। এখানে চাকরী কালিন সময়ে রবিউল ইসলাম সরকারী দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে মহা দাপটে চাকরি করেছেন। কেউ তিনার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেননি। উপকার ভোগীরা বলেন আমাদের কষ্টের টাকাটা দিলেই আমারা খুশি। অভিযুক্ত রেঞ্জার রবিউল ইসলাম কোন কথা বলবেন না বলে ফোন কেটে দিয়েছেন। তারপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটির কথা স্বীকার করে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান বলেছেন টাকার গরমিল আছে। তবে বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। তাই এবিষয় নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।
অপরদিকে আংশিদারগন সরকারের কাছে দাবি জানান, এই বন ডাকাতে কবলে বালিঝুরি বনায়নে অর্থ উদ্ধার করে উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেবেন