অবিরাম বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণে এবং সীমান্তবর্তী ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের গত কয়েক দিনে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোরে রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, ঝিনাইগাতী, চতল, বনগাও সহ কয়েক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে কমপক্ষে ১৫/২০ গ্রাম পানিবন্ধি হয়ে পরেছে। ঢলের পানি প্রবেশ করেছে উপজেলা শহরের প্রধান বাজার সহ বিভিন্ন অফিস ও বাড়ী ঘরে। এতে বিপাকে পরেছে সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর খালভাঙ্গা এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সেখানেও ১৫/২০ গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি।
অপরদিকে শ্রীবরদী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতেও ব্যাপক ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে অত্যন্ত ২০ গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
ঝিনাইগাতী শহর সহ ভাটি এলাকার কমপক্ষে তিন উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। সেই সাথে পানিতে ডুবে গেছে অনেক মৎস্য খামার, পুকুর, বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও বীজতলা।
স্থানীয়রা জানান, মহারশি নদীর ঝিনাইগাতী ব্রীজপাড় থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে দখল করে বসতি স্থাপন করা নদীর নাব্যতা কমে গেছে।
এছাড়া নদীটি খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে না আনায় প্রতিবছর সদর বাজার সহ পুরো এলাকা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবী নদীর বুকে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দেয়া সহ স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জুরুরি।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবীর রাসেল নেতৃত্বে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন, ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশরাফুল কবীর রাসেল জানান, মহারশি নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। স্ব-স্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানি বন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান ও ঢেউটিন প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।