পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় মুরাদীয়ায়, সাবেরা আজিজ বালিকা বিদ্যালয়ের পাকা ভবনের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত।
জানাযায়, এক কক্ষের ভিতরে দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘুর্নিঝড় রিমালের আঘাতে বিদ্যালয়টির কাঁচা একটি টিনসেড ঘরের চালের টিন, বেড়া উড়ে ও ভেঙে চুরে হেলে পড়েছে। শ্রেণী কক্ষের পাঠদানের বেঞ্চ ও চেয়ার, টেবিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৃষ্টির পানিতে ফ্লোরে কাঁদা হওয়ায় বাধ্য হয়ে অন্য ভবনের একটি শ্রেনী কক্ষের মাঝখানে পার্টিশন দিয়ে দুটি করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা পরিচালনা করা হয়। বিদ্যালয়ের আর্থিক দুরাবস্থার কারণে মেরামত অথবা পূনঃনির্মান করা সম্ভব হয়নি এখনও।
সরেজমিনে দেখা যায়, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সাবেরা উ: মুরাদীয়া গ্রামে, সাবেরা আজিজ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৬ সালে স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে এ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৫ জন শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের ৭৫ ফুট দীর্ঘ ও ২৪ ফুট চওড়া একটি কাঁচা টিনসেড ভবনে ৩টি পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হতো কিন্তু ঘুর্নিঝড় রিমালের আঘাতে ঘরটি পাঠদানের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেড ভবনটি পাঠাদানের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বর্ষার মৌসুম তাই বাধ্য হয়ে অন্য একটি ভবনের প্রতিটি শ্রেনীকক্ষ দুভাগে বিভক্ত করে কোন রকম পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছি। বিদ্যালয়ের কোন আর্থিক ফান্ড না থাকায় ভবনটি পুনঃনির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, ঘূর্নিঝড় রিমালে ভবনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছি।
এমতাবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ স্থানীয় এলাকাবাসী।
এব্যাপারে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীন মাহমুদ জানান, বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের বরাদ্দ উপজেলা প্রশাসনে নেই। তবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।