দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের এক প্রান্তিক কৃষকের চার বিঘা জমিতে লাগানো ধান ক্ষেতে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে শীষসহ আমন ধানের গাছ বিনষ্ট করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কৃষকের প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আলাদিপুর ইউনিয়নের উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের সাইদুর ইসলামের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের মেয়ে জহুরা আক্তার পপির কাছ থেকে ২০২২ সালে ওই জমি তার স্ত্রী নূরেছা বেগমের নামে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। গত বছর ওই জমিতে সরিষা আবাদ করলে রাজারামপুর গ্রামের নূরুন্নবী চৌধুরীর ছেলে মাসুদুর রহমান ট্রাক্টর দিয়ে সরিষা ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। ওই ঘটনার পর সাইদুর ইসলাম ছয়জনকে বিবাদি করে দিনাজপুরে সহকারী জজ আদালতে ২০২৩ সালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে প্রতিপক্ষরা দাহ্যপদার্থ (ঘাস মারার বিষ) ছিটিয়ে আমন ধান লাগানো চার বিঘা জমির ধান গাছ নষ্ট করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে সাইদুর ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আলাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসমুস সাকির বাবলু বলেন, কাগজপত্র দৃষ্টে ওই জমির প্রকৃত মালিক জহুরা আক্তার পপি। সেই প্রকৃত জমির মালিক জহুরা আক্তার পপির কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে নূরেছা বেগমই এখন জমির প্রকৃত মালিক। জমিটি ক্রয় করার পর থেকে ভোগ-দখল করে আসছেন নূরেছা বেগম।
কিন্তু আকস্মিক ভাবে মাসুদুর রহমান গংরা ওই জমির অংশীদার দাবি করে জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ মাসুদুর রহমান গংরা ওই জমির কোন অংশিদারও নন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইন-চার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান,বদাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে ধান ক্ষেত নষ্ট করা হয়েছে এমন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।