উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৭ জন। তন্মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৯৩৩ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৪৭ জন এবং মানবিক বিভাগে ১১৭ জন। ১৪টি কলেজের মধ্যে ১২টি থেকে এসব শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। আর শুধুমাত্র তিনটি কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
এবারে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে সৈয়দপুর উপজেলায় শীর্ষে রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। উপজেলার এ অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিন বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩৩৪ জন মানবিকে ৫৯ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ১৭ জন। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। এ কলেজটি থেকে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৫ জন। তিন বিভাগে ১৬৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে অবস্থানে রয়েছে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ। এদের মধ্যে বিজ্ঞানে ১৩৯ জন, মানবিকে ১৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৪ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে উপজেলায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে সৈয়দপুর সরকারি কলেজ। ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম এ কলেজটি থেকে তিন বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৬জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞানে ১৩২, মানবিকে ২২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২ জন।
সৈয়দপুর উপজেলায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে সৈয়দপুর সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ। এ কলেজটি থেকে তিন বিভাগে জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৫১জন। তন্মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩৫জন, মানবিকে আটজন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে আট জন।
এছাড়াও সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে তিন বিভাগে ১৮ জন, লক্ষণপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১০ জন, হাজারীহাট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১০ জন, সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আটজন, কামারপুকুর ডিগ্রী কলেজ থেকে পাঁচজন, কয়াগোলাহাট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে চারজন এবং সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল সৈয়দ শাফিউল ইসলাম মেরাজ তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আজকের এইচএসসি পরীক্ষার এই ফলাফলে প্রতিষ্ঠাতগতভাবে আমরা অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছি। এই প্রতিষ্ঠানের মূল মন্ত্র হচ্ছে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে আমরা করবো জয়। আমরা মূলতঃ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখিয়ে থাকি। আজকের এই ফলাফলই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সেই স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন। আজকের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের অবদান সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও সহযোগিতা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের ইচ্ছেকে সঠিকভাবে প্রস্ফুটিত করতে পারে না। তাই আমরা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি বিন্যাস করে তাদের ইচ্ছে ও সামর্থ্য অনুযায়ী সমন্বয় করে বিভিন্ন দিক নিদের্শনা প্রদান করে থাকি। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৭ জন। তন্মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৯৩৩ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৪৭ জন এবং মানবিক বিভাগে ১১৭ জন। ১৪টি কলেজের মধ্যে ১২টি থেকে এসব শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। আর শুধুমাত্র তিনটি কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।