শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানসহ সকল মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। এবং গত ৫ আগস্টের পূর্বে যারা শহীদ হয়েছে তাদেরকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে স্থানীয় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ রোকনুজ্জামান সরকার রোকন।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নে রাজগঞ্জ সাহেব কাচারী বাজারে শহীদ জিয়া স্মৃতি পরিষদ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেলের ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর যুবদল নেতা মোঃ মহসিন আলম।
এসময় আওয়ামী সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রোকন বলেন, আওয়ামী সরকার আমলে ১ হাজার টাকা কেজি কাঁচা মরিচ খেয়েও মানুষ মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনি, আওয়ামী সরকার মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। আর আজকে এই সময়ে ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ খেয়েও মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সম্পর্কে বুক ফুলিয়ে প্রতিবাদস্বরূপ কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছে। আওয়ামী সরকারের দুর্শাসন দেশ ও জাতিকে জাহান্নাম উপহার দিয়ে ছিল। সেই আওয়ামী দুর্শাসন থেকে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সমালোচনা করতে পারাটাও একটা স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা অর্জন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বীর সৈনিকেরা।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী সরকার আমলে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা পড়ালেখা শেষ করেও তারা চাকরি পায়নি। চাকরিতে আবেদন করার পরে তাদেরকে আওয়ামী নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে তাদেরকে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতে হয়েছে।
যুবদল সভাপতি রোকন আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশী, আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনা যে দেশের সাধারণ জনগণ বলবে আওয়ামী সরকার যেমন ছিল এখন এই সরকারও ঐরকম স্বৈরাচারী। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যে দেশের জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছেন। আমরা আমাদের নিজেদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলবো যেন সাধারণ মানুষ বলে “আওয়ামী সরকারের আমলে আমরা জাহান্নামে ছিলাম, এখন আমরা বেহেস্তের গন্ধ পাচ্ছি”।
অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ।
উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় স্থানীয় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হাজারো সমর্থকদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয় শহীদ জিয়া স্মৃতি পরিষদ।