ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলীসহ প্রভাবশালী ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৭-নভেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ (সিনিয়র স্পেশাল জজ) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ খালেদুজ্জামান পারভেজ বুলবুল। তিনি সাপ্তাহিক পারাপার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জিল্লুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহুরুল হক।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী রিয়াদ মোঃ সাঈদ বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৪/৫ ধারায় মামলাটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ (সিনিয়র স্পেশাল জজ) আদালতের বিচারক মমতাজ পারভীন মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ময়মনসিংহ জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কার্যালয়কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। এ মামলায় সরকারি কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনে আরও সর্তক হবেন। কর্মকর্তার মধ্যে যে দুর্নীতির প্রবণতা রয়েছে তা কমে আসবে।
মামলার বাদী নগরীর মোহাম্মদ আলী রোডের মৃত অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম পারভেজের ছেলে মোঃ খালেদুজ্জামান পারভেজ বুলবুল বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অভিযুক্তরা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ড্রেনেজ, সড়ক নির্মান, সড়ক বাতি ও বাসযোগ্য নগর উন্নয়নে বিল্ডিং কোড অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি কিনেছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্যই এ মামলা করেছি সাধারণ নাগরিক হিসেবে। আশা রাখছি বর্তমান সরকারের কাছে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমার বিশ্বাস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবিন্যস্ত সংস্থা গুলো সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসবে।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জিল্লুর রহমান বলেন, নিয়ম না মেনে জিলা স্কুল মোড়ে বুলবুল বহুতল ভবন নির্মাণ করলে সিটি করপোরেশন নোটিশ প্রদান করে। এনিয়ে সিটি করপোরেশনের সাথে তার বিরোধ রয়েছে, কর্মকর্তাদের কাছে অনৈতিক সুবিধাও চেয়েছিল না দেওয়ায় আদালতে অভিযোগ দায়েরে করেছে। বিষয়টি আইনীপ্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করা হবে।
অপর দিকে মসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে মামলার বাদী বুলবুল জানান, জিল্লুর রহমান যে বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যাচার করেছেন তিনি। বরং আমি মসিককে অবগত করেছি, তাদের কাছে অভিযোগ দিয়ে বারংবার হয়রানির শিকার হয়েছি। মসিক কর্তারা তাদের দ্বায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে আমাকে পেরেশানি করেছে। বুলবুল আরও বলেন, আমার মত অনেক নগরবাসী অভিযোগ দিয়েও মসিক কর্তাদের সজাগ করতে পারেননি। আদালতে ভুক্তভোগী অভিযোগকারীদের মসিকের রিসিভ কপির সম্পর্কে অবগত করে। মিথ্যাচার করে কোন দুর্নীতিবাজ যেন ছাড় না পায়, সেজন্য বুলবুল সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান।