গাজীপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ দখল নিতে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে – ছবি: সংগৃহীত
টঙ্গী ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ।
পুলিশের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বেলা দুইটা থেকে ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা মাঠসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত বা মিছিল-সমাবেশ করতে পারবেন না। কোনো ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্য বা এ–জাতীয় কোনো পদার্থ বহন করতে পারবেন না। কোনো প্রকার লাউড স্পিকার বা এ–জাতীয় কোনো যন্ত্র দ্বারা উচ্চৈঃস্বরে শব্দ করতে পারবেন না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার এন.এম. নাসিরুদ্দিন বলেন, ইজতেমা মাঠে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এদিকে ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তুরাগ নদের তীরবর্তী ঢাকার অংশে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী। ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা–১০ নম্বর সেক্টর ও তৎসংলগ্ন তুরাগ নদের দক্ষিণ ও পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আজ বেলা দুইটা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ এর দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।