কুড়িগ্রাম থেকে নববধূ সনিতা রানীকে (১৮) হেলিকপ্টারে করে নেত্রকোনা জেলায় উড়িয়ে নিয়ে গেল হরিজন সম্প্রদায়ের যুবক অপু বাঁশফোড়। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
শুধু তাই নয়, পুরো বিয়ের অনুষ্ঠান ভিডিও করা হয়েছে ড্রোন দিয়ে। এ ঘটনায় খুশি পুরো হরিজনপল্লি। বৃহত্তর রংপুর বিভাগে এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি বলে লোকজন আলোচনা করছেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম মাঠ থেকে নববধূকে নিয়ে যাওয়ার সময় স্টেডিয়ামে ছিল উপচেপড়া মানুষের ভিড়। পুরো ঘটনা এক নজর দেখতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন ভিড় জমান সেখানে।
হরিজন যুব সম্প্রদায় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়কুমার বাঁশফোড় জানান, কুড়িগ্রাম এলজিইডি বস্তির হরিজন সম্প্রদায়ের অধিবাসী ভূট্টুলাল রবিদাসের তৃতীয় কন্যা সনিতা রানীর সঙ্গে নেত্রকোনা জেলার জয়নগর হাসপাতাল এলাকার মৃত দীলিপ বাঁশফোড়ের ছোট ছেলে অপু বাঁশফোড়ের বিয়ে সম্পন্ন হয় মঙ্গলবার রাত ২টার সময়। বুধবার সকালে সব কার্যক্রম শেষে দুপুর দেড়টার দিকে নববধূকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যান বর অপু বাঁশফোড়।
ছেলের বোনের স্বামী কুড়িগ্রাম শহরের মজিদা কলেজ সংলগ্ন পুরাতন রেলস্টেশন বস্তির অধিবাসী কাঞ্চন বাঁশফোড় জানান, পারিবারিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিয়েটা অনুষ্ঠিত হয়। ছেলে নেত্রকোনায় পাঠশালা ব্যান্ডে কাজ করে এবং একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে সরকারি চাকরি করে।
এ ব্যাপারে অপু বাঁশফোড় জানান, আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে বউকে বাড়িতে নিয়ে আসব। এজন্য অনেক দিন থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আসছি। আমার পরিবারও সহযোগিতা করেছে। ঘণ্টায় ৮০ হাজার টাকা করে ৩ ঘণ্টার জন্য হেলিকপ্টারটি ভাড়া করা হয়।