মাগুরায় ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার হওয়া খুলনা মেট্রেপলিটন পুলিশের এডিশনাল এসপি লাবণী ‘মানসিক ডিপ্রেশনে’ ছিলেন।
গত ১৭ জুলাই দুপুর পৌনে ১টায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এসডিইউ) দুই ঘণ্টা চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতালের ১০০৪ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ১৮ জুলাই রাতে তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরেন।
এদিকে পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ১৭ জুলাই লাবণী অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, এডিশনাল এসপি খন্দকার লাবণী আক্তারের স্বামী তারেক আব্দুল্লাহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন।
কেএমপির বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা খানম জানান, লাবণীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তার স্বামী ভারত থেকে দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। খুলনায় তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় (২য় ফেজে) ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তার চার ও আট বছর বয়সী দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার সোনাডাঙ্গার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এর আগে বুধবার মাঝরাতে মাগুরার শ্রীপুরে কাদের পাড়া এলাকায় নানাবাড়ি থেকে লাবণীর মরদেহ উদ্ধার হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে মাগুরা পুলিশ লাইন ব্যারাকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানও (২৩) একসময় খুলনা কেএমপিতে কর্মরত ছিলেন। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হন। খুলনায় কর্মরত থাকাকালে মাহমুদুল কেএমপির এডিশনাল এসপি লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কামরুল হাসান জানান, দু’জনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য