পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা গোলাম সরোয়ার হাফিজি ও নূরানী মাদ্রাসার প্রধানসহ তিন শিক্ষককে মারধর ও পদত্যাগ পত্রে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জমি-জমা ও কমিটি সংক্রান্ত পূর্ববিরোধে দুবৃত্তরা প্রতিষ্ঠানটির অফিসে ঢুকে প্রকাশ্যে তিন শিক্ষককে মারধর ও জোড়পূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনা ঘটে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় ।
সোমবার ২৬ আগষ্ট বিকেল ৫টায় জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে হামলার শিকার গোলাম সরোয়ার হাফিজি ও নূরানী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাও: মোঃ আল মামুন এসব অভিযোগ এনে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, গত রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টায় উপজেলা শহরের থানা ব্রিজ এলাকার গোলাম সরোয়ার হাফিজি ও নূরানী মাদ্রাসার কর্তৃত্ব দখলে নিতে দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য নাসির হাওলাদার ও আনোয়ার হাওলাদারের নেতৃত্বে ৫/৬জনের দুবৃত্তরা অফিসে ঢুকে তাদের মনগড়া একটি পকেট কমিটি গঠন করে তাতে সম্মতি ও স্বাক্ষর প্রদানের দাবি করেন। এতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা তাকে বেধরক কিল,ঘূষি মেরে ফেলে দেয়। এসময় সহকারি শিক্ষক হাফেজ মাসুদুর রহমান ও মাও: আবু জাফর প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও মারধর করে এবং পৃথক পৃথক পদত্যাগ পত্রে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে যায়।
ঘটনাটি মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)কে অবহিত করে ওই দিন রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিন শিক্ষককে মারধর ও জোড়পূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আনোয়ার হাওলাদার বলেন, তাদের কেউ মারধর করেনি। উচ্চবাচ্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে ঘটনাটি মিমাংসার পর তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চলে গেছে।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহীন মাহমুদ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।
মন্তব্য