ময়মনসিংহের শিল্পাঞ্চল উপজেলা ভালুকায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার জমিরদিয়া মাষ্টারবাড়ী ও সন্ধ্যা ৭টার দিকে একই উপজেলার কাশর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, স্বামী-স্ত্রী মরদেহ গুলো হলো দিনাজপুরের বিরল উপজেলার গাগড়াগাতি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সাগর ইসলাম (২১) এবং তার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২০)। নূপুর আক্তার নেত্রকোনার মদন উপজেলার ইন্দারপুর গ্রামের সুধু মিয়ার মেয়ে। স্বামী-স্ত্রী দুইজন স্থানীয় ক্রাউন ফ্যাক্টরীতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
অপরজন মরদেহটি হলো, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার মহিনন্দন গ্রামের সাগর এর স্ত্রী সোনালী আক্তার (১৮)। সোনালী আক্তার এবং সাগর ভালুকা অন্য একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ শামছুল হুদা খান এবিষয়টি নিশ্চিত করা জানান, গত দুই মাস আগে সাগর ও নূপুর দম্পতি জমিরদিয়া মাষ্টারবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ক্রাউন ফ্যাক্টরীতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী দুইজনই ফ্যানের সঙ্গে আলাদা আলাদা ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করেন। স্থানীয়রা ঘটনাটি জানতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটোনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে।
অপরদিকে একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাশর এলাকায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করে সোনালী। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । আত্মহত্যা পথ বেছে নেয়া তিনজনই নিঃসন্তান বলে জানাযায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা সুত্রে জানান, পারিবারিক বিরোধে কারণেই আত্নহত্যার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ভালুকা মডেল থানা পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
মন্তব্য