শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া সুজন আওয়ামী সরকারের সময় ২০১০ সালে অবৈধ পন্থায় এমপির মাধ্যমে নিয়োগ লাভ করে । চাকরির সুবাদে সরকারী নিয়ম তোয়াক্কা না করে ঔষধের দোকান করে সরকারী ঔষধপত্রও বিক্রি করে থাকে বলে দীর্ঘদিন থেকে ভূক্তভোগী জনসাধারণ মৌখিক অভিযোগ করে আসছে।
গত ৭/১১/২০২৪ তারিখে তার চাকরীর তথ্য চেয়ে তথ্য ফর্ম পূরণ করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাজীব সাহার নিকট আবেদন করেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী-টিটু । তথ্য প্রদান না করে দিনের পর দিন ওই কর্মচারীর সাথে আতাত করেন কর্মকর্তা রাজীব সাহা । তথ্য চাওয়া হলেও সময়ক্ষেপণ করে পরিশেষে চলতি মাসে ১৭/৩/২০২৫ তারিখে আংশিক তথ্য দিয়ে বাকিগুলো শেরপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে নিতে বলেন আবেদনকারীকে।
অভিযুক্ত সুজনের বিরুদ্ধে তথ্য হাতে পাওয়ার আগেই ১৪/৩/২০২৫ শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে তার স্ত্রীকে দিয়ে দর্ষণ চেষ্টার ৮৭ নং একটি অভিযোগ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত শেরপুর ডিবিতে তদন্তের জন্যে প্রদান করেন । তথ্য বিলম্ব ও মামলার বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাজীব সাহার সম্পৃক্ততা আছে কি না এ নিয়ে সমাজে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ১লা মার্চ ২০২৫ তারিখে বিকালে রামের কুড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিনে সুজনের স্ত্রী শীলাকে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে আবেদকারী জবর দস্তি করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তথ্য প্রাপ্তি ও সুজনের মধ্যে ওই সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদেড় বছর থেকে শালিশ বৈঠক ও মামলা চলে আসছে। ওই নালিশি জমি দুইজনের ভাগটুকো আত্মসাত করার জন্যে মিথ্যা মামলা দ্বায়ের করেছে বলে সুজনের মা, ভাবি সহ এলাকাবাসীরা জানান। ঘটনার সময় ওইদিন আবেদন কারী নিরাপত্তার কারণে থানায় ফোন দিলে পুলিশের একটি টিম ঘটনা স্থলে পৌছে এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন। সাংবাদিক ঘটনার দিনই চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা এফআইরভূক্ত করেন। যাহার মামলা নং ১৪ তাং ১২/৩/২৫ ইং। পরের দিন মিথ্যা নাটক ও কুচক্রী মহলের পরামর্শে থানায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা লিখে নিয়ে গেলে মিথ্যা মামলা সেখানে পুলিশ সহ পারিবারিক লোকজন উপস্থিত ছিল বলে ঘটনার সাথে কোন সম্পর্ক না থাকায় মামলা নেয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সুজনের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিনের মেয়েকে এসিড নিক্ষেপের দায়ে মামলা হয়। সেই মামলায় সুজন জেল খাটেন। এবং অপর দিকে পারিবারিক ভাবে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে বাড়িতে অনশন নিলে প্রভাব খাটিয়ে টাকা দিয়ে মেয়েকে বিদায় করা হয় । এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে সামাজিক ভাবে অনেক অপরাধের ক্ষতচিহ্ন এখন সমাজে ভাসছে। তার চাকরি চলাকালিন দায়িত্ব অবহেলার জন্যে ২ বার শোকজ খেয়েছেন সুজন।
সাধারণ জনতা একজন সন্ত্রাসী কি ভাবে কত টাকার বিনিময়ে এই চাকরী লাভ করেছে তার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ঠদের আহবান জানিয়েছেন। সুজনের অপকর্মে অতিষ্ট এলাকাবাসী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
মন্তব্য