স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ কেলেঙ্কারী, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের অধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমান। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ পূর্নাঙ্গ বরখাস্ত হন তিনি। এনিয়ে টানা ৬ বছর আইনী লড়াই শেষে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ‘বৈষম্যের শিকার’ দাবি করে গত (২০২৪) বছরের ২ সেপ্টম্বর স্বপদে পুর্নবহাল হন তিনি। এতেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এই কলেজ অধ্যক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, পদে ফিরেই আবারও অবৈধ প্রভাববিস্তার করে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন অধ্যক্ষ। এনিয়ে কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে দলাদলির সৃষ্টি হয়েছে। তবে অধ্যক্ষের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, মো. আতাউর রহমান অধ্যক্ষ থাকাকালে ২০০৭ সালে তাঁর বাসায় কাজের সুবাধে মো. মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেন। এ ঘটনার এক বছর পর ২০০৮ সালে মজিবুর রহমানের শ্যালক সুমন মিয়াকেও অফিস কর্মচারি পদে চাকরি দেন। বর্তমানে অধ্যক্ষ স্বপদে পুনরায় বহাল হয়ে অফিস সহায়ক মজিবুরের ছেলে রেজাউর রহমান রূপনকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আচরনের অভিযোগ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিষ্ঠানের অর্নার বোর্ড থেকে সাবেক ২ অধ্যক্ষের নাম তুলে ফেলে দিয়েছেন বর্তমান অধ্যক্ষ আতাউর রহমান। শহীদ মিনার থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ও ভিসির নাম ফেলে দিয়ে করেছেন নতুন ফলক এবং তাঁর বরখাস্তকালীন সময়ে সকল বিষয় অনুসন্ধানে গঠন করেছেন ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে স্বেচ্ছায় চাকরী ছেড়ে চলে যাওয়া আইসিটি শিক্ষক নুরুজ্জামানকে ফের নিয়োগ এবং সিনিয়রিটি দেওয়ার প্রস্তাব, অবসর নেওয়া ২ জনের পেনশন আটকে দেওয়া এবং পিকনিকে না যাওয়ায় এবসেন্ট দেখানো। এছাড়াও কলেজে মালী থাকা স্বত্বেও আরও একজনকে মালী নিয়োগ, নিয়ম না মেনেই ২ জনকে গার্ড নিয়োগ করেছেন অধ্যক্ষ। এনিয়ে অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, অতি গোপনীয়তায় অত্যান্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় চলছে এই নিয়োগ কার্যক্রম। প্রার্থীদের ফলাফল মূল্যায়নে নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে বাণিজ্যের কোন সুযোগ নেই। আমি কারো বিরুদ্ধেই প্রতিহিংসার আচরণ করছি না।
মন্তব্য