জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিম উদ্দিন হত্যা মামলায় সোহেল মিয়া (৩৫) নামে একজনকে দশ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোহেল মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুরের চরপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৬-জুন) ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সামছুদ্দিন এই রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সোহেল মিয়ার চাচা আবুল হাশেমদের সাথে পূর্ব থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকালে প্রতিবেশী আবুল হাশেম সোহেল মিয়ার বসতবাড়ির পিছনে বাঁশঝারে বাঁশ কাটতে গেলে বাধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল মিয়াসহ আরো কয়েকজন দা, বল্লম, কাতরা, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার বসতবাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করে আবুল হাশেমকে কিলঘুষি মারতে থাকে। এসময় আবুল হাসেমের ডাকচিৎকারে নয়ন মিয়ার চাচা কাজিমউদ্দিনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর চড়াও হয়। এসময় সোহেল তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে কাজিম উদ্দিনের মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে সোহেলের সাথে থাকা অন্যান্যরা কাজিমউদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।
গুরুতর আহত কাজিমউদ্দিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে কাজিমউদ্দিনের ভাতিজা নয়ন মিয়া বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ গোপনে প্রকাশ্যে তদন্ত করে এজাহারনামীয় সোহেল মিয়া, সোহেল মিয়ার বাবা আবুল কাসেম, আবুল হাসেম, আব্দুল আজিজ, আশরাফুল ও আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করে। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন বিশ্লেষণ এবং ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সোহেল মিয়াকে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করে। অভিযুক্ত অন্য পাঁচজনকে আদালত বেকসুর খালাস দেন।
মন্তব্য