সোমবার (৩০-জুন) রাতে ময়মনসিংহ নগরীর চায়না মোড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে র্যাব। আটককৃতরা হলো, নাঈম ইসলাম ও ওলিউল্লাহ।
র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শামসুজ্জামান জানান, গত ২৫ জুন মোহনগঞ্জের হাটমোহনগঞ্জ কাপড় পট্টি মোড় থেকে এক মাদ্রাসা ছাত্র কিশোর রিফাতুল্লাহকে মাইক্রোতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় একটি চক্র।প্রতিদিনের ন্যায় ঐ মাদ্রাসা ছাত্র রিফাতুল হাসান বাড়ীতে না ফিরলে তার মাসহ পরিবারের লোকজন খোজাখুঁজি শুরু করে। এ ঘটনায় রিফাতুল হাসানের মা বাদি হয়ে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন।মোহনগঞ্জ থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-৩০/০৬/২০২৫ খ্রি. ধারা- ৭/৮/৩০ নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২৫)। অপরদিকে রিফাতুলকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাদীনির মোবাইল ফোনে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে ৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঐ কিশোরের মা অপহরণকারীদেরকে অনুরোধ করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে চাইলে অপহরণকারীরা তাকে ফেরত দিতে সম্মত হয়। এরই প্রেক্ষিতে, গত ২৯ জুন বিকালে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের বিনিময়ে রিফাতুলকে ফেরত দিতে রাজি হয়ে রিফাতের মাকে ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ ব্রীজে আসতে বলে। পরে অপহরণকারীরা তাকে ফেরত দিবে মর্মে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে ঐদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টারদিকে ময়মনসিংহ নগরীর চায়না মোড় এলাকায় অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার জন্য আসলে বাদীনি, এলাকাবাসী ও সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের সদস্যগণের সহায়তায় অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্যকে আটক করে। তারা হলো, নাঈম ইসলাম এবং ওলিউল্লাহ। পরবর্তীতে সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের সদস্যগণ অপহরণকারীদের কাছে থেকে অপহৃত রিফাতুল হাসানকে উদ্ধার করে। অপহরণকারী চক্রের আটককৃত সদস্যদেরকে কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-১৪।
মন্তব্য