ময়মনসিংহের ভালুকায় মা ও দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫-জুলাই) বিকালে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর আগে নিহত গৃহবধূ ময়না আক্তারের ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার রাতে ভালুকা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ময়না আক্তারের স্বামী রফিকুল ইসলামের আপন ছোট ভাই নজরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের কীর্তনখোলা গ্রামের শুলতু মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী, দুই সন্তান ও ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে নিয়ে ভালুকা শহরের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রফিকুল রাসেল স্পিনিং মিলে চাকরি করতেন। ঐ রাতে তিনি নাইট শিফটে ডিউটি করার জন্য কারখানায় অবস্থান করেছিলেন।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে কর্মস্থল থেকে রফিকুল ইসলাম বাসায় গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝুলানো। এ সময় ডাকাডাকি করা হলেও ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। পরে তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখেন তার স্ত্রী ময়না আক্তার (২৫), দুই সন্তান রাইসা (৭) ও নিরবকে (২) গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ খাটের উপর ফেলে রাখা হয়।
খবর পেয়ে ভালুকা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে ভালুকা থানায় আনা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মামলার মূল রহস্য জানা যাবে।
মন্তব্য