ময়মনসিংহ জেলা তাঁতীলীগ’র সাধারণ সম্পাদক আমানুল ইসলাম জলিল’র বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি অসাংগঠনিক, অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা তাঁতীলীগ’র সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম জুয়েল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শুরু থেকেই জলিল অসংগঠনিক নানান কাজে লিপ্ত ছিল। তার কারণে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে স্থবিরতা দেখা দেয়। ইদানিং জলিল বেপরোয়া হয়ে উপজেলা তাঁতী লীগের কমিটির নেতাদের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে তার মন গড়া কমিটি দিতে বাধ্য করে। আমি তাকে বারবার বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সাবধান করেছি কিন্তু সে আমার কোন কথা শুনেনি। কমিটি বাণিজ্যের বিষয়ে জুয়েল বলেন, সম্প্রতি ভালুকা উপজেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগসাজশে ৮ নং ডাকাতিয়া ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নতুন কমিটি গঠন করে। যে টাকা লেনদেনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে জুয়েল বলেন, কিছুদিন আগে মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিচালিত রেডক্রিসেন্ট ফেসবুক গ্রুপে আপত্তিজনক ফোনালাপ, অঙ্গভঙ্গি এবং বিভিন্ন ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব কর্মকান্ডের কারণে জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির ৪১ সদস্য মিটিংয়ের মাধ্যমে জলিলকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল ইসলাম জলিল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা তাঁতী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তারেক মোঃ রবিউল হাসান, সদস্য জাকির আলম সুরুজ, মোঃ রুবেলসহ জেলা তাঁতী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
মন্তব্য