পটুয়াখালী জেলার দুমকিতে ভরা মৌসুমে ব্যাপক বৃষ্টিপাতেও পায়রা, লোহালিয়া নদীতে পানি থইথই করছে। কিন্তু ইলিশের আকাল চলছে। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
দেশের উপকূলীয় এ জনপদে দিনরাত নদীতে জাল ফেলে ইলিশ না পেয়ে দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা। পায়রা ও লোহালিয়া নদীতে চান্দখালী, পাংগাশিয়া, আলগি, লেবুখালী, আংগারিয়া, বাহেরচর, পাতাবুনিয়া, কদমতলা, সন্তোষদী, চরগরবদি, উত্তর মুরাদিয়া স্থানে হাজিরহাট, লেবুখালী বাজার, আংগারিয়া বাজার, জালিয়া বাড়ি, কদমতলা হাট, বোর্ড অফিস বাজার, তালতলী বাজার, দুমকি বাজার, পীরতলা বাজার সহ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলেরা জাল ফেলেন। জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এসব এলাকার শত শত প্রান্তিক জেলে।
স্থানীয় জেলেরা জানায়, বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানি বাড়লে সাগর থেকে নদীতে মাছ চলে আসে। এ সময় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ার কথা। এ ছাড়া কয়েক দিন ধরে বন্যায় নদীর পানি বেড়েছে। ফলে পায়রা, লোহালিয়া নদীতে এখন পানি থইথই করছে। তবুও জেলেদের জালে মিলছে না ইলিশ। একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে তারা নিয়মিত জাল ফেলছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য ইলিশ না পেয়ে তাদের অনেকেই ফিরছেন খালি হাতে।
আলমগীর হোসেন নামক এক জেলে জানান, জ্যৈষ্ঠ- আশ্বিন ভাদ্র ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু পায়রা, লোহালিয়া নদীতে হন্য হয়ে ঘুরেও মাছের দেখা পাচ্ছেন না জেলেরা। হানিফ নামে আরেকজন জেলে বলেন, “পানি বাড়লেও ডুবোচর ও নাব্যতা সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। মাছ ব্যবসায়ী হালিম জানান, এখানকার স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়, ছোট ঝাটকা ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান লোকমান আলী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাগরে ডুবোচর জেগেছে। নদ- নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে প্রজননের সময় মিঠা পানিতে চলে আসে ইলিশ মাছ। কিন্তু ডুবোচরের পাশাপাশি বিভিন্ন পদার্থের কারণে দিন দিন নদীর পানিও দুষিত হচ্ছে। প্রজননের সময় আসতে না পাড়ায় দিন দিন ইলিশের সংখ্যা কমছে।
মন্তব্য