পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ শেরপুরের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড় এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। এ পর্যটন কেন্দ্রে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার দর্শনার্থীর লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকেই ছোট-বড় সকলের উপস্থিতি ঈদের আনন্দ যেন পূর্ণতা পেয়েছে এ পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে।
আজ বহস্পতিবার (৩-এপ্রিল) পর্যটন কেন্দ্র গুলো ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে । পর্যটকদের খুব সহজেই আকৃষ্ট করে জেলার ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র, নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক, পানিহাতা তাড়ানি ও শ্রীবর্দীর রাজার পাহাড়ের প্রাকৃতিক সুন্দর্য। এখান প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে অপরূপ চাদর মাড়ানা গারো পাহাড়। ছোট-বড় ও মাঝারি টিলা, সমতলভূমির সেগুনবাগান আর লতাপাতার সবুযের সমারোহ প্রকৃতি প্রেমীদের দোলা দিয়ে যায়। গারো পাহাড় প্রাকৃতিক সুন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি জেলার ঝিনাইগাতী উপজলার ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গজনী অবকাশ কেন্দ্র। সারি সারি শাল, গজারি, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতাপাতার বিন্যাস প্রকৃতি প্রেমীদের মন আকৃষ্ট করে। এ ছাড়া শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেশ কিছু স্থাপনা ও ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে। গজনীর প্রবেশমুখ মৎস্যকন্যা (জলপরী), ডাইনাসারের প্রতিকৃতি, ড্রাগন ট্যানল, জিরাফ, পদ্ম সিঁড়ি, লক ভিউ পটাগন, হাতির প্রতিকৃতি, স্মৃতিসৌধ, গারো মা ভিলেজ, ওয়াচ টাওয়ার, ঝুলন্ত ব্রিজ সহ নানা রকমের দৃশ্য দিয়ে গজনীকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। একটি চিড়িয়াখানা থাকলেও নতুন করে এতে সংযুক্ত করা হয়ছ হরিণ সহ প্রায় ৪০ প্রজাতির প্রাণী। গজনী অবকাশ কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থী দম্পতিরা জানান, তারা ঢাকায় থাকেন, ঈদের ছুটিতে শহরের কোলাহল ছেড়ে গজনী অবকাশ ঘুরতে এসেছেন। আগের চেয়ে পর্যটন কেন্দ্রের কৃত্রিম দৃশ্য গুলো তাদের মনে অনেক বেশি আনন্দ দিয়েছে। এসব কৃত্রিম দৃশ্যের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পর্যটকরা। পর্যটন কেন্দ্রের সাইট ভিউ টাওয়ার সহ অন্যান্য ইজারাদারগণ জানান, ঈদের পরের দিন থেকে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ছিল। আশা করছি আজও (বহস্পতিবার) অনেক দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। ফলে আমাদের সবারই ব্যবসা ভাল হচ্ছে।
শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান, গারো পাহাড় ঘেরা গজনী অবকাশ কেন্দ্রটি ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের একটি জায়গা। তাই এর রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসন যথেষ্ট আন্তরিক। পুরনো আয়োজনের পাশাপাশি আগতদের জন্য নতুন নতুন স্থাপনা ও ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।
এ ব্যাপার শেরপুর পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ ভ্রমন পিপাসুদের আগমন বাড়বে সেই চিন্তা করে পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে কঠোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।
মন্তব্য